পবিত্র হজ করতে এসে বাংলাদেশের ১০ হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে সৌদি আরবে। তাদের মধ্যে আটজন পুরুষ এবং দু’জন নারী। এর মধ্যে আটজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। একজন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আরেকজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এসব হজযাত্রী গত ৩১ মে থেকে গত শুক্রবারের (৯ মে) মধ্যে মারা যান।
তারা হলেন– গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আব্দুল ওয়াহেদ (৪৬), রাজধানীর ডেমরার শাহানারা বেগম (৬৩), পাবনার চকছাতিয়ানী মাঠপাড়ার ডা. শফিকুল ইসলাম (৬৩), শেরপুরের ঝিনাইগাতীর আলী হোসাইন (৬৭), রাজধানীর খিলগাঁওয়ের আইয়ুব খান (৪৮), পঞ্চগড়ের ছোটদাপের শহীদুল আলম (৬৭), বগুড়ার আদমদীঘির রোকেয়া বেগম (৬২), নওগাঁর আত্রাইয়ের আদম উদ্দিন মণ্ডল (৬২), রংপুর সদরের মতিউর রহমান (৬৮) এবং গাইবান্ধার বনারীপাড়ার আমজাদ হোসেন আকন্দ (৬৫)।
এদিকে মক্কায় হজ এজেন্সির ভাড়া করা হোটেল, সৌদি আরবে বাংলাদেশ মিশনের ক্লিনিকে আসার পথে, কিং ফয়সাল ও কিং আবদুল আজিজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ মিশনের ক্লিনিক এবং কিং ফয়সাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারা মারা যান।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ অফিসে কর্মরত পদস্থ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃত হজযাত্রীদের সৌদি আরবের মক্কায় শরাইয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মোয়াল্লিম মাওলানা ও মুফতি হোছাইন আহমদ বলেছেন, হজযাত্রীরা মহান আল্লাহর মেহমান। এ জন্য সৌদি আরব সরকার তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রয়াত হজযাত্রীদের দাফন-কাফনের সব ব্যবস্থা করে থাকেন।
এদিকে চলতি বছর হজ পালনের উদ্দেশ্যে গত শুক্রবার পর্যন্ত ৬৭ হাজার ১০৫ বাংলাদেশি সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৩৫০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৫৭ হাজার ৭৫৫ জন।
এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৪ হাজারের বেশি হজযাত্রীর যাওয়ার কথা রয়েছে। গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। শেষ হবে ২২ জুন। হজ পালন শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।